গুরুত্বপূর্ণ হাদিস:
এক হাদিসে বর্ণিত হইয়াছে, যে ব্যাক্তি জানিয়া শুনিয়া বিনা ওজরে নামায ত্যাগ করিবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তাহার দিকে ভ্র্রুক্ষেপও করিবেন না এবং তাহাকে ‘আজাবুন আলীম’ অর্থ্যাৎ যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেওয়া হইবে।
এক হাদীসে বর্ণিত হইয়াছে যে, দশ ব্যাক্তি বিশেষ ভাবে শাস্তি ভোগ করিবে। তন্মধ্যে একজন হইল নামায ত্যাগকারী, তাহার হাত বাঁধা থাকিবে এবং ফেরেশতাগণ তাহার মুখে ও পিঠে আঘাত করিতে থাকিবে। জান্নাত বলিবে, আমার এং তোমার মধ্যে কোন সম্পর্ক নাই, না আমি তোমার জন্য না তুমি আমার জন্য। দোযখ বলিবে, আস তুমি আমার নিকট আস। তুমি আমার জন্য আমিও তোমার জন্য।
আরও বর্ণিত আছে জাহান্নামে একটি ময়দান আছে, যাহার নাম লমলম। উহাতে উঠের ঘাড়ের মত মোট মোট সাপ রহিয়াছে। উহাদের দৈর্ঘ একমাসের পথের সমান। উহাতে নামায ত্যাগকারীদের কে শাস্তি দেওয়া হইবে।
অন্য এক হাদিসে আছে জাহান্নামে ‘জুববুল হাযান’ নামক একটি ময়দান রহিয়াছে, উহা বিচ্ছুদের আবাসস্থল। এক একটি বিচ্ছু খচ্চরের মত বড় হইবে। উহারাও নামায ত্যাগ কারীকে দংশন করিবে।
আবু লাইস সমরকন্দী (রহঃ) ‘কুররাতুল উয়ূন’ গ্রন্থে হুযুর সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এরশাদ নকক করিয়াছেন যে, যে ব্যাক্তি জানিয়া শুনিয়া এক ওয়াক্ত নামায ছাড়িয়া দেয় তাহার নাম জাহান্নমের দরজায় লিখিয়া দেওয়া হয় এবং তাহাকে অব্শ্যই উহাতে প্রবেশ করিতে হইবে।
হাঁ মাওলায়ে কারীম যদি মাফ করিয়া দেন, তবে কাহার কি বলার আছে। তবে মাফ তো চাহিতে হইবে।
বিস্তারিত জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
No comments:
Post a Comment