Saturday, May 25, 2019

(Al- Qadr)-সূরা কদর এর অর্থ - #Quran Surah Al- Qadr #Quran #Hadith #Sunnah #Islam #Muslim



নিশ্চয় আমি এই কুরআনকে কদরের রাত্রিতে নাযিল করিয়াছি। (আয়াত:১)

আপনি কি জানেন শবে কদর কত বড় জিনিস? (আয়াত:২)

শবে কদর হাজার মাসের চাইতেও উত্তম। (আয়াত:৩)

এই রাত্রে ফেরেশতাগণ অবতীর্ণ হন।
এবং এই রাত্রিতে রহুল কুদুস অর্থাৎ হযরত জিবরাঈল (আঃ) ও অবতরণ করেন। 
ফেরেশতাগণ তাদের পরওয়ারদিগারের হুকুমে প্রত্যেক ভাল ও কল্যাণকর বিষয় লইয়া জমিনের দিকে অবতরণ করেন। (আয়াত:৪)

এই রাত্রিটি শুরু হইতে শেষ পর্যন্ত সালাম ও শান্তি। 
এই রাত্র সুবহে সাদিক পর্যন্ত থাকে। (আয়াত:৫) 

{আয়াতের অর্থ হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আরী থানভী (রহঃ) এর, ‘তাফসীরে বয়ানুল কুরআন’ হইতে লওয়া হইয়াছে।}












রমজানের শেষ দশ দিন, এতেকাফ ও শবে কদর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ হাদিস part-2 #Hadith #Sunnah #Bukhari #Muslim #Islam


৬. উবাদা ইবনে সামেত (রাযিঃ) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শবে কদর সম্পর্কে  জিজ্ঞাসা করিলে তিনি এরশাদ ফরমান যে, উহা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাত্রে অর্থ্যাৎ ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখে বা রমজানের শেষ রাত্রে হয়। যে ব্যাক্তি দৃড় একীনের সহিত সওয়াবের আশায় এই রাত্রে এবাদতে মশগুল হয়, তাহার পিছনের সমস্ত গোনাহ মাফ হইয়া যায়। এই রাত্রের অন্যান্য আলামতের মধ্যে একটি হইল, এই রাত্রটি নির্মল ঝলমলে হইবে, নিঝুম, নিথর- না অধিক গরম না অধিক ঠান্ডা; বরং মধ্যম ধরণের হইবে। (নূরের অধিক্যের কারণে) চন্দ্রোজ্জল রাত্রির ন্যায় মনে হইবে। এই রাত্রে সকাল পর্যন্ত শয়তানের প্রতি তারকা নিক্ষেপ করা হয়। উহার আরো একটি আলামত এই যে, পরদিন সকালে সূর্য কিরণবিহীন একেবাওে গোলাকার পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় উদিত হয়। আল্লাহ পাক সেদিনের সূর্যদয়ের সময় উহার সহিত শয়তানের আত্মপ্রকাশকে বন্ধ করিয়া দিয়াছেন। (পক্ষান্তওে অন্যান্য দিন সূর্যোদয়ের সময় সেখানে শয়তান আত্মপ্রকাশ করিয়া থাকে।) (দূররে মানসুর ঃ আহমদ, বাইহাকী)।
৭. হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেন যে, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমি যদি শবে কদর পাইয়া যাই, তবে কি দোয়া করিব? হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমাইলেনÑ এই দোয়া করিওÑ
আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়ুুন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি। (আরবি রুপ দেখে নিলে ভাল হয়)
অর্থ: হে, আল্লাহ্ ! আপনি বড় ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালবাসেন। অতএব, আপনি আমাকে ক্ষমা করিয়া দিন। (মিশকাত ঃ তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, আহমদ)।   
#Bukhari
#Hadith
#Faith
#WeLoveAllah
#Muslim
#Islam


Click hare for more information.

রমজানের শেষ দশ দিন, এতেকাফ ও শবে কদর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ হাদিস #Hadith #Sunnah #Bukhari


১. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম এরশাদ ফরমাইয়াছেন, যে ব্যাক্তি শবে কদরে ঈমানের সহিত এবং সওয়াবের নিয়তে এবাদতের জন্য দাঁড়ায়, তাহার পিছনের সমস্ত গোনাহ মাফ করিয়া দেওয়া হয়।
২. হযরত আনাস (রাযি.) বলেন, একবার রমজান মাস আসিলে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লম এরশাদ ফরমাইয়াছেন, তোমাদের নিকট একটি মাস আসিয়াছে। উহাতে একটি রাত্র আছে যাহা হাজার মাস হইতে উত্তম। যে ব্যাক্তি এই রাত্র হইতে মাহরুম থাকিয়া গেল সে যেন সমস্ত ভালাই ও কল্যাণ হইতে মাহরুম থাকিয়া গেল। আর এই রাত্রির কল্যাণ হইতে কেবল ঐ ব্যাক্তিই মাহরুম থাকে যে প্রকৃতপক্ষেই মাহরুম। (তারগীব: ইবনে মাজাহ)।
৩. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমাইয়াছেন, শবে কদরে হযরত জিবরাঈল (আঃ) ফেরেশতাদের একটি জামাতের সহিত অবতরণ করেন। যে ব্যাক্তি দাঁড়াইয়া বা বসিয়া আল্লাহর যিকির করিতে থাকে বা এবাদত বন্দেগীতে মশগুল থাকে, তাহার জন্য রহমতের দোয়া করেন। অতঃপর যখন ঈদুল ফিতরের দিন হয় তখন আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের সামনে বান্দাদের এবাদন বন্দেগী লইয়া গর্ব করেন। কেননা, ফেরেশতারা মানুষকে দোষারোপ করিয়াছিল। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা জিজ্ঞাসা করেন, হে ফেরেশতারা! যে মজদুর নিজ দায়িত্ব পুরাপুরি আদায় করিয়া দেয় তাহার বদলা কি হইতে পারে? ফেরেশতারা আরজ করেন হে আমাদের রব্ব! তাহার বদলা এই যে, তাহাকে পুরা পারিশ্রমিক দেওয়া হোক। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, হে ফেরেশতারা ! আমার বন্দা ও বান্দীগণ আমার দেওয়া ফরয হুকুমকে পরিপূর্ণরূপে পালন করিয়াছে, এখন উচ্চস্বরে দোয়া করিতে করিতে ঈগদাহের দিকে যাইতেছে। আমার ইয্যতের কসম, আমার প্রতাপের কসম, আমার বখশিশের কসম, আমার সুমহান শানের কসম, আমার সুউচ্চ মর্যাদার কসম, আমি তাহাদের দোয়া অবশ্যই কবুল করিব। তারপর বান্দাদের প্রতি লক্ষ করিয়া বলেন , যাও আমি তোমাদের গোনাহ সমূহ মাফ করিয়া দিলাম এবং তোমাদের গোনাহগুলিকে নেকীর দ্বারা বদলাইয়া দিলাম। অতঃপর তাহারা ঈদগাহ হইতে নিষ্পাপ হইয়া ফিরিয়া আসে। ( মিশকাত ঃ বাইহাকী ঃ শুআব)।
৪. হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হইতে বর্ণনা করেন যে, তোমরা রমযান মোবারকের শেষ দশ দিনের বিজোড় রাত্রগুলোতে শবে কদর তালাশ কর। (মিশকাত ঃ বুখারী)।
৫. হযরত উবাদা (রাযিঃ) বলেন, একবার হযরত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদিগকে শবে কদরের নির্দিষ্ট তারিখ জানাইবার জন্য বাহিরে তাশরীফ আনিলেন। এই সময় দুইজন মুসলমানের মধ্যে ঝগড়া হইতেছিল। হূযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমাইলেন যে, আমি তোমাদিগকে শবে কদরের নির্দিষ্ট তারিখ বলিবার জন্য বাহির হইয়া আসিয়াছিলাম। কিন্তু অমুক দুই ব্যাক্তির মধ্যে ঝগড়া হইতেছিল বিধায় নির্দিষ্ট তারিখ উঠাইয়া লওয়া হইয়াছে। হয়ত এই উঠাইয়া লওয়ার মধ্যে আল্লাহ হায়ালা কোন মঙ্গল নিহিত রাখিয়াছেন। অতএব তোমরা নবম, সপ্তম, ও পঞ্চম রাত্রগুলিতে শবে কদর তালাশ কর। ( মিশকাত ঃ বুখারী )।   
#Bukhari
#Hadith
#Faith
#WeLoveAllah
আরো নতুন কিছু পেতে এখানে ক্লিক করুন (Click hare for more information)

Tuesday, May 21, 2019

গুরুত্বপূর্ণ হাদিস:
হযরত আবু হোরায়রা (রাযি.) হইতে বর্ণিত আছে যে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন,সাতটি ধংসকারী গুনাহ হইতে বাঁচিয়া থাক। সাহাবায়ে কেরাম (রাযি.) আরয করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ঐ সাতটি গুনাহ কী কী? তিনি বলিলেন, 
১. আল্লাহ তায়ালার সহীত কাহাকেও শরীক করা, 
২. যাদু করা, 
৩. অন্যায়ভাবে কাহাকেও হত্যা করা, 
৪. সুদ খাওয়া,
৫. এতীমের মাল খাওয়া,
৬. (নিজের জান বাঁচানোর জন্য) জেহাদের মধ্যে ইসলামী লশকরের সঙ্গ ছাড়িয়া ভাগিয়া যাওয়া,
৭. সতী-সাধ্বী ঈমানওয়ালী ও মন্দ বিষয় সম্পর্কে অসতর্ক (আত্মভোলা) নারীদের উপর যিনার অপবাদ দেওয়া। (বোখারী)
#Bukhari
#CoxsbazarHunt
#TheHunterOfCoxsbazar
#Humanbeing

For More Click Here

Monday, May 20, 2019

গুরুত্বপূর্ণ হাদিস:
১. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমাইয়াছেন, যে ব্যাক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে শরীয়ত সম্মত কোন কারণ ব্যাতীত রমজানের একটি রোযাও ভঙ্গ করিবে, সে রমজানের বাহিরে সারাজীবন রোযা রাখিলেও উহার বদলা হইবে না। 
২. হূযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম এরশাদ ফরমাইয়াছেন যে, “তোমরা এই দোয়া কর, হে আল্লাহ আমাদের মধ্যে কাহাকেও তুমি হতভাগ্য বঞ্চিত করিও না “ অতঃপর নিজেই প্রশ্ন করিলেন, “তোমরা কি জান হতভাগ্য বঞ্চিত কে? ” সাহাবীগণ জানিতে চাহিলে তিনি এরশাদ করিলেন, “ যে ব্যাক্তি নামায ছাড়িয়া দেয় সেই হতভাগ্য বঞ্চিত। ইসলামে তাহার কোন অংশ নাই।”
Click here for more information (এখানে ক্লিক করুন)

গুরুত্বপূর্ণ হাদিস:
এক হাদিসে বর্ণিত হইয়াছে, যে ব্যাক্তি জানিয়া শুনিয়া বিনা ওজরে নামায ত্যাগ করিবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তাহার দিকে ভ্র্রুক্ষেপও করিবেন না এবং তাহাকে ‘আজাবুন আলীম’ অর্থ্যাৎ যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেওয়া হইবে। 
এক হাদীসে বর্ণিত হইয়াছে যে, দশ ব্যাক্তি বিশেষ ভাবে শাস্তি ভোগ করিবে। তন্মধ্যে একজন হইল নামায ত্যাগকারী, তাহার হাত বাঁধা থাকিবে এবং ফেরেশতাগণ তাহার মুখে ও পিঠে আঘাত করিতে থাকিবে। জান্নাত বলিবে, আমার এং তোমার মধ্যে কোন সম্পর্ক নাই, না আমি তোমার জন্য না তুমি আমার জন্য। দোযখ বলিবে, আস তুমি আমার নিকট আস। তুমি আমার জন্য আমিও তোমার জন্য।
আরও বর্ণিত আছে জাহান্নামে একটি ময়দান আছে, যাহার নাম লমলম। উহাতে উঠের ঘাড়ের মত মোট মোট সাপ রহিয়াছে। উহাদের দৈর্ঘ একমাসের পথের সমান। উহাতে নামায ত্যাগকারীদের কে শাস্তি দেওয়া হইবে।
অন্য এক হাদিসে আছে জাহান্নামে ‘জুববুল হাযান’ নামক একটি ময়দান রহিয়াছে, উহা বিচ্ছুদের আবাসস্থল। এক একটি বিচ্ছু খচ্চরের মত বড় হইবে। উহারাও নামায ত্যাগ কারীকে দংশন করিবে।
আবু লাইস সমরকন্দী (রহঃ) ‘কুররাতুল উয়ূন’ গ্রন্থে হুযুর সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এরশাদ নকক করিয়াছেন যে, যে ব্যাক্তি জানিয়া শুনিয়া এক ওয়াক্ত নামায ছাড়িয়া দেয় তাহার নাম জাহান্নমের দরজায় লিখিয়া দেওয়া হয় এবং তাহাকে অব্শ্যই উহাতে প্রবেশ করিতে হইবে।
হাঁ মাওলায়ে কারীম যদি মাফ করিয়া দেন, তবে কাহার কি বলার আছে। তবে মাফ তো চাহিতে হইবে।






বিস্তারিত জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন

গুরুত্বপূর্ণ হাদিস:
১. হযরত আবু হোরায়রা (রাযি.) বর্ণনা করেন যে, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমাইয়াছেন, কবীরা গুনাহের মধ্যে একটি বড় গুনাহ হইল , কোন মুসলমানের ইজ্জতের উপর অন্যায়ভাবে হামলা করা। (আবু দাউদ)।
২. হযরত আবু হোরায়রা (রাযি.) বর্ণনা করেন যে, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমাইয়াছেন, যে ব্যাক্তি মুসলমানদের উপর (খাদ্যদ্রব্যের) মূল্য বৃদ্ধি করার জন্য উহা আটকাইয়া রাখিল, সে গুনাহগার। (মুসনাদে আহমাদ, মাজমায়ে যাওয়ায়েদ)।
৩. হযরত আবু হোরায়রা (রাযি.) বর্ণনা করেন যে, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমাইয়াছেন, হিংসা হইতে বাঁচিয়া থাক, হিংসা মানুষের নেকীসমূহকে এমনভাবে খাইয়া ফেলে যেমন আগুন লাকড়িকে খাইয়া ফেলে অথবা বলিয়াছেন ঘাসকে খাইয়া ফেলে। (আবু দাউদ)।
বিস্তারিত জানার জন্য একানে ক্লিক করুন

Tuesday, May 14, 2019

গুরুত্বপূর্ণ হাদিস (১৪ মে, ২০১৯)

রোজা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাদিস:
হূজূর
রোজা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাদিস:
হূজূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমাইয়াছেন, অনেক রোজাদার ব্যাক্তি এমন আছে, যাহাদের রোজার বিনিময়ে অনাহারে থাকা ব্যাতিত আর কিছুই লাভ হয় না। আবার অনেক রাত্রী জাগরণকারী এমন আছে, যাহাদের রাত্রি জাগরণের কষ্ট ছাড়া আর কিছুই লাভ হয় না। (ইবনে মাজাহ্, নাসাঈ, ইবনে খুযাইমাহ, হাকিম)
ফায়দা/ব্যাখ্যা: এই হাদিসের ব্যাখ্যা সম্বন্ধে ওলাম
ায়ে কেরামের কয়েকটি অভিমত আছে। 
১. ইহা দ্বারা ঐ ব্যাক্তি কে বুঝানো হইয়াছে, যে সারাদিন রোযা রাখিয়া হারাম মাল দ্বারা ইফতার করে; রোযা রাখার দ্বারা যে পরিমাণ সওয়াব হইয়াছিল হারাম মাল খাওয়ার গোনাহ উহা হইতে বেশি হইয়া গেল। সুতরাং দিনভর শুধু অনাহারে থাকা ব্যাতিত তাহার আর কিছুই লাভ হইল না।
২. ঐ ব্যাক্তিকে বুঝানো হইয়াছে, যে রোযা রাখে, কিন্তু গীবত-শেকায়েত অর্থ্যাৎ অন্যের দোষ চর্চায় লিপ্ত থাকে। ইহারব বিবরণ পরে আসিতেছে।
৩. ঐ ব্যাক্তিকে বুঝানো হইয়াছে, রোযা রাখিয়াও গোনাহ ইত্যাদি হইতে বাঁচিয়া থাকে না। 
হূজূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এরশাদ ও বাণীসমূহ খুবই ব্যাপক ও বহুল অর্থবিশিষ্ট হয়; এইসব অভিমত এবং আরও অন্যান্য অভিমতও এই হাদিসের অন্তর্ভুক্ত রহিয়াছে।
এমনিভাবে রাত্রি জাগরণের অবস্থা। সারা রাত্র জাগিয়া কাটাইল; কিন্তু আমোদ-ফূর্তির জন্য একটু গীবত করিল কিংবা অন্যকোন আহাম্মকী কাজ করিল, যাহাতে তাহার সমস্ত রাত্রি জাগরণ বেকার হইয়া গেল। যেমন ফজরের নামাযই কাজা করিয়া দিল অথবা শুধু মানুষকে দেখানোর জন্য বা সুনাম অর্জনের জন্য রাত্রি-জাগরণ করিল। ফলে উহা বেকার হইল।
“পূর্বের হাদিসে বলা হয়েছে লোক দেখানো ইবাদত আল্লাহ কবুল করেন না। ” সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমাইয়াছেন, অনেক রোজাদার ব্যাক্তি এমন আছে, যাহাদের রোজার বিনিময়ে অনাহারে থাকা ব্যাতিত আর কিছুই লাভ হয় না। আবার অনেক রাত্রী জাগরণকারী এমন আছে, যাহাদের রাত্রি জাগরণের কষ্ট ছাড়া আর কিছুই লাভ হয় না। (ইবনে মাজাহ্, নাসাঈ, ইবনে খুযাইমাহ, হাকিম)
ফায়দা/ব্যাখ্যা: এই হাদিসের ব্যাখ্যা সম্বন্ধে ওলাম
ায়ে কেরামের কয়েকটি অভিমত আছে। 
১. ইহা দ্বারা ঐ ব্যাক্তি কে বুঝানো হইয়াছে, যে সারাদিন রোযা রাখিয়া হারাম মাল দ্বারা ইফতার করে; রোযা রাখার দ্বারা যে পরিমাণ সওয়াব হইয়াছিল হারাম মাল খাওয়ার গোনাহ উহা হইতে বেশি হইয়া গেল। সুতরাং দিনভর শুধু অনাহারে থাকা ব্যাতিত তাহার আর কিছুই লাভ হইল না।
২. ঐ ব্যাক্তিকে বুঝানো হইয়াছে, যে রোযা রাখে, কিন্তু গীবত-শেকায়েত অর্থ্যাৎ অন্যের দোষ চর্চায় লিপ্ত থাকে। ইহারব বিবরণ পরে আসিতেছে।
৩. ঐ ব্যাক্তিকে বুঝানো হইয়াছে, রোযা রাখিয়াও গোনাহ ইত্যাদি হইতে বাঁচিয়া থাকে না। 
হূজূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এরশাদ ও বাণীসমূহ খুবই ব্যাপক ও বহুল অর্থবিশিষ্ট হয়; এইসব অভিমত এবং আরও অন্যান্য অভিমতও এই হাদিসের অন্তর্ভুক্ত রহিয়াছে।
এমনিভাবে রাত্রি জাগরণের অবস্থা। সারা রাত্র জাগিয়া কাটাইল; কিন্তু আমোদ-ফূর্তির জন্য একটু গীবত করিল কিংবা অন্যকোন আহাম্মকী কাজ করিল, যাহাতে তাহার সমস্ত রাত্রি জাগরণ বেকার হইয়া গেল। যেমন ফজরের নামাযই কাজা করিয়া দিল অথবা শুধু মানুষকে দেখানোর জন্য বা সুনাম অর্জনের জন্য রাত্রি-জাগরণ করিল। ফলে উহা বেকার হইল।
“পূর্বের হাদিসে বলা হয়েছে লোক দেখানো ইবাদত আল্লাহ কবুল করেন না। ”